রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন

কেন সিসিইউতে খালেদা জিয়া, জানালেন চিকিৎসক

কেন সিসিইউতে খালেদা জিয়া, জানালেন চিকিৎসক

স্বদেশ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর তিনশ ফিট এলাকায় তার শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড উনার চিকিৎসা করছেন। উনার চিকিৎসা যথাযথভাবেই চলছে। আজ ভোরের দিকে উনি একটু শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। পরে চিকিৎসকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) উনি চিকিৎসাধীন।’ খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবাইকে দোয়া করতে অনুরোধ করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনারি কেয়ার ইউনিটে যখন রোগী থাকেন, তখন তো সেখানে রোগী স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসই নেয়।’

কী কারণে শ্বাসকষ্ট হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মানুষের যেকোনো সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। উনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং সেগুলো এখানকার চিকিৎসকরা কালেকটিভলি করছেন।’

খালেদা জিয়া কেমন আছেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন আমি এখানে আসার জাস্ট কয়েক মিনিট আগে উনার সঙ্গে দেখা করে আসছি। আমি উনার সঙ্গে কথা বলে এসেছি। উনি কেমন আছেন খোঁজ নিয়েছি।’

গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যান (চেস্ট), হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। খালেদা জিয়া পায়ের ব্যথাতেও ভুগছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ফলে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না তিনি।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজা’য় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন পার হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা করা হলে পুনরায় ফল পজিটিভ আসে।

গত বছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর আরও দুই দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তাকে বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877